সেই ব্যক্তি ও তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে গোপন রহস্য ফাঁস করলো পুলিশ

সেই ব্যক্তি ও তরুণীকে- গভীর রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে রনি হক নামের এক ব্যক্তি ও তার গাড়িচালককে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। রনি হক ও তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

৯ জুন, শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনির একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে চালক পালিয়ে গেলেও রনিকে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

১০ জুন, রবিবার শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস বলেন, ‘আটক রনি হককে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছিল, তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

শনিবার গভীর রাতে ঘটনার দুটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন রাফি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি।

রাফি আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি অফিস থেকে ফেরার সময় মোহাম্মদপুর কলেজগেট সিগন্যালে তার সামনে থাকা গাড়িতে একজন ছেলে ও একজন মেয়েকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন।

গাড়ির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি গাড়িটিকে অনুসরণ করেন। যানজটের কারণে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বলে পোস্টে উল্লেখ করেন রাফি।

গাড়ির ভেতরের ধস্তাধস্তি রাফি আহমেদসহ রাস্তায় থাকা আরও অনেকের নজরে আসে। রাফি আহমেদ তার পোস্টে দাবি করেন, গাড়িটি যানজটে আটকা পড়লে তিনিসহ সাধারণ মানুষ গাড়িটির সামনে গিয়ে দেখেন ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো – গ ২৯- ৫৪১৪’।

রাস্তা থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করা হচ্ছিল বলে ওই তরুণী জানিয়েছেন, দাবি রাফি আহমেদের।

ভিডিওতে দেখা যায়, জনতা ওই ব্যক্তি ও তার গাড়ির চালককে বাইরে বের করে পিটুনি দিচ্ছেন। একপর্যায়ে ‘ধর্ষণকারী’ ও গাড়ির চালক উভয়কেই নগ্ন করে রাস্তায় মারধর করতে দেখা যায়।

ফেসবুকে রনি হক তার আইডিতে ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই প্রাইভেট কারসহ একটি ছবি পোস্ট করেন। সে ছবিতে থাকা প্রাইভেট কারের নম্বরের সঙ্গে গতকালকের ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ির নম্বর মিলে গেছে।